যাকাতের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত [সর্ম্পকে জানতে এখানে ক্লিক করতে হবে]
শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই পাঁচটি ভিক্তির একটিও না থাকলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে যাকাত অন্যতম। যে সকল মুসলমানের উপর যাকাত ফরজ তাদের যাকাত দিতে হয়।
প্রতিবছর রমজানের পূর্বমুহূর্তে যাকাত আদায় করতে হয়। যাকাত আদায় করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। যায় যাকাত দেওয়ার জন্য যেমন সওয়াব পাওয়া যায় তেমনি না দেওয়ার জন্য তেমন রয়েছে শাস্তি।
আমাদের উচিত যাকাতের সওয়াব এবং শাস্তি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা এবং অন্যান্য মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এতে করে প্রত্যেকটি মুসলমান যাকাত আদায়ে সচেতন হবে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য,
যাকাত না দেওয়ার শাস্তি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানেন না। আজকের পোস্টে সকল বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি ভিক্তির মধ্যে যাকাত অন্যতম। যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
যাকাত দেয়ার মাধ্যমে সম্পদের পবিত্রতা অর্জিত হয়। এছাড়াও সম্পদে বরকত আসে। অনেকে মনে করে যাকাত দিলে সম্পদ কমে যায়। বিষয়টি এমন নয়। যাকাত দিলে বরং সম্পত্তি বৃদ্ধি পায়। আল্লাহকে খুশি করা যায় যাকাত প্রদানের মাধ্যমে।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করে যাকাত আদায় করা এবং অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।আশাকরি আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
যাকাত দেওয়ার যেমন সওয়াব রয়েছে তেমনি যাকাত না দেওয়ার জন্য রয়েছে অসীম শাস্তি। কোন ব্যক্তির উপর যদি যাকাত ফরজ হয় এবং সে যদি তা আদায় না করে তবে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
কোন ব্যক্তি যাকাত না দিলে কেয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের পাত তৈরি করা হবে এবং সে গুলোকে জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। এরপর আস্তে আস্তে তার সারা শরীরে দিয়ে দাগ দেয়া হবে। সেই একদিনের পরিমাণ হবে 50000 বছরের সমান।
এছাড়াও যাকাত আদায় না করলে সম্পদে বরকত আসে না। আমাদের প্রত্যেকের উচিত যাকাত না দেওয়ার শাস্তি ও পরিণাম সম্পর্কে বেশি বেশি জ্ঞান আহরণ করা। কারণ আমরা যত বেশি শাস্তি ও পরিণাম সম্পর্কে জানব
যাকাত আদায়ে আমরা তত বেশি সতর্ক হতে পারব। আশাকরি আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে যাকাত না দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। পৃথিবীতে বড় সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল দারিদ্র।
দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশই উচ্চ শ্রেণীর মানুষের হাতে থাকায় বেশিরভাগ মানুষই দারিদ্রতায় ভোগে। দেশের উচ্চ শ্রেণীর মানুষ যদি প্রতিবছর সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় করে তবে দেশের দারিদ্রতা কমে যাবে। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে অভাবীদের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়।
যাকাত আদায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করা যায়। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। যে মানুষগুলোর কোন কাজ করার সামর্থ্য নেই মূলত তাদেরই যাকাত বেশি দরকার। কাজেই উচ্চ শ্রেণীর মানুষরা যদি তাদের যাকাত প্রদান করে থাকে তবে তারা উপকৃত হবে।
যাকাত আদায়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা যায়। প্রত্যেকে সমান সুবিধা ভোগ করতে পারবে। অভাব-অনটন কমে যাবে। সুতরাং বলা যায় অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।