যাকাত প্রদানের খাত কয়টি ও কি কি, নিয়ম এবং যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি [দেখুন]
যাকাত হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে 1 টি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ হচ্ছে কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাত। যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। যাকাত আল্লাহ তাআলা একটি ফরজ ইবাদত।
এই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে আল্লাহ তাআলা হজ ও যাকাত শুধুমাত্র সম্পদশালী ব্যক্তিদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। যাকাত কিভাবে দিতে হয় এবং কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত দিতে হয় বা যাকাত প্রদানের খাত কয়টি এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
তাই আজকে আমরা আলোচনা করব যাকাত সম্পর্কে। যাকাত অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি করা, পবিত্র করা। যে ব্যক্তি সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় করে আল্লাহ তার ধন সম্পদ বৃদ্ধি করে দেন এবং তার সম্পদ হালাল ও পবিত্র করে দেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে অনেকবার যাকাত এর কথা উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কুরআনে নামাজের পরে যাকাতের কথা সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ 32 বার বর্ণনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলোর মাধ্যমে যাকাতের নিয়ম সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা যাকাতকে কয়েকটি খাতে বন্টন করেছেন। যেমন, আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে
সূরা আত-তাওবার 60 নম্বর আয়াতে যাকাত বণ্টনের আটটি খাত নির্ধারণ করেছেন। আর এই খাতগুলো হচ্ছে ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ে নিযুক্তকারী ব্যক্তি যার অন্য কোন জীবিকা নেই, ধ্বনি সম্পদশালী ব্যক্তি কিন্তু তার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশি,
নওমুসলিম, আল্লাহর পথে, ক্রীতদাসদের মুক্তির উদ্দেশ্যে এবং মুসাফির। যাকাত প্রদানের জন্য কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। যেমন,যাকাত দিতে হয় নিসাব অনুসারে। নিসাব হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বাদ
দেওয়ার পর সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ ও সাড়ে 52 তোলা পরিমাণ রুপা বা এর সমমূল্যের কোন কিছুর মালিকানা থাকলে। কারো কাছে যদি উক্ত মূল্যের সম্পদ এক বছর ধরে নিজস্ব মালিকানায় থাকে
তাহলে তাকে এই সম্পদের 2.5 শতাংশ পরিমাণে যাকাত দিতে হবে। যাকাত বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য কতগুলো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান?
তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে যাকাত বিষয় ছাড়াও আরও বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে কতগুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করলে
ঐ সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আল্লাহ তাআলা যাকাত আদায়ের জন্য কতগুলো সম্পদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত সম্পদগুলোর উপর যাকাত আদায় করা ফরজ।
যাকাত আদায়ের জন্য আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত সম্পদগুলো হচ্ছে গচ্ছিত নগদ অর্থ, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ যা এক বছর বেশি সময় ধরে জমাকৃত, প্রাইজবন্ড, ব্যবসায়-বাণিজ্যে লভ্যাংশ, স্বর্ণ-রৌপ্য, মূল্যবান ধাতু,
সোনার অলংকার, রুপার অলংকার, উৎপাদিত কৃষিজাত ফসল, পশুসম্পদ, খনিজ দ্রব্য – এসবের উপরে যাকাত আদায় করা ফরজ। এই সম্পদগুলোর উপর যাকাত আদায় করতে হয় নিসাব অনুসারে। আল্লাহ তাআলা যাকাতের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন।
যাকাত আদায় করতে হয় সাধারণত রমজান মাসে। কোন ব্যক্তি যদি রমজান মাসে বেশি বেশি করে দান-খয়রাত করে তাহলে আল্লাহ তার সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেন এবং তার সম্পদে অনেক বরকত দান করেন।