৯ম গ্রেডে বেতন কত ২০২৪
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে সবচেয়ে মূল্যবান চাকরি হলে। সরকারি চাকরি প্রায় সকল শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরির দিকে ছুটছে এইজন্য বাড়ছে প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে
হলে সরকারি চাকরি সম্পর্কে কিছু সাধারন জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সে তালিকায় প্রথমে পড়ে সরকারি চাকরির গ্রেডিং সিস্টেম এবং বেতন কাঠামো সম্পর্কে। সে সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট। গ্রেট শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে শ্রেণী বা ধাপ।
সরকারি বেসরকারি প্রত্যেকটি চাকরির বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। যার সাহায্যে বোঝা যায় একজন চাকরিজীবী ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি চাকরি ও এমন ২০টি পর্যায়ে রয়েছে।
তাদেরকে বলা হয় গ্রেড। মূলত একজন সরকারি চাকরির বেতন থেকে শুরু করে। অবস্থান, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা এ গ্রেড এর সাথে সম্পর্কিত। তাই আপনি যদি সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
বা সরকারি চাকরি করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার গ্রেড সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে এ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন এবং দেখে নিন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী উক্ত বেতন স্কেলে মোট বিশটি গ্রেড রয়েছে। ২০১৫ এর পূর্বে সরকারি চাকরিজীবীরা মোট চাকরি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল।
আপনার প্রথম ও দ্বিতীয় তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত ছিল। কিন্তু চাকরির আদেশ ২০১৫ এর ৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারি চাকরিজীবী তার বেতন স্কেলের গ্রেড অনুযায়ী পরিচিত হবেন।
এখন বর্তমানে ২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবী আছেন. উল্লেখ্য যে যদিও শ্রেণী বিভাজন পদ্ধতির বদলে গ্রেড বিভাজন পদ্ধতি আনা হয়েছে। তবুও ২০ টি গ্রেট চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়্বছে।
এজন্য প্রথম থেকে নবম ট্রেনের চাকরিজীবীদের বলা হয় প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা, দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিজীবীদেরকে বলা হয়, দশম গ্রেডের তৃতীয় শ্রেণি হচ্ছে ১১ থেকে ১৬ গ্রেডের এবং চতুর্থ শ্রেণী হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্যাডার ও নন ক্যাডার। মূলত সরকারি চাকরিজীবীকে ক্যাডার উন্নয়ন ক্যাডার এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয় এর মধ্যে পার্থক্য হল তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতায়।
ক্যাডার চাকরিজীবীদের পদোন্নতি পেয়ে নীতি নির্ধারণী পদে যেতে পারেন। কিন্তু কেন নন ক্যাডার পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই নবম গেটের একজন চাকরিজীবী প্রাথমিকভাবে সরকারি অবস্থায় ২৮ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
বেতনের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির সবথেকে ভালো একটি দিক হলো এই ভাতা সুবিধার প্রত্যেক সরকারি চাকরিজীবী বিপুল অংকের ভাতা পাওয়ার কারণে তাদের মোট বেতনের অংকটা অনেক বেশি হয়ে যায়।
অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত কিন্তু সরকারি বেতনভুক্ত সরকারি চাকরিজীবীরা যেমন এমপিও স্কুল কলেজের শিক্ষকগণ এ সুবিধা পান না। যেমন একজন ও গ্রেট 5 অনুযায়ী বেতন পেয়ে থাকেন।
কিন্তু তিনি গ্রেট 5 এর মূল বেতন ৪৩ হাজার টাকার বাইরে অন্যান্য সরকারি ভাতা পান না। ফলে একজন গ্রেড ৫ এর সরকারি চাকরিজীবী থেকে তার মোট বেতন অনেক কম।
এবার চলুন জানা যাক সরকারের নানান ভাতা সম্পর্কে। সে অনুযায়ী নাবঙ্গের একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রথমে ২৮ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। এর সাথে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ হয়ে থাকে।