আসরের নামাজের ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে জানুন
আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য। আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। হাশরের ময়দানে নামাজের হিসাব সবার আগে নেওয়া হবে। এরপর অন্যান্য কাজের হিসাব নেয়া হবে।
সুতরাং বোঝা যায় নামাজের গুরুত্ব কতটা বেশি। নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মুসলমানের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনা সম্ভব। নামাজ প্রত্যেকটি মানুষকে খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। কোন ব্যক্তি যত অশ্লীল কাজই করুক না কেন
সে যদি নামাজ পড়ে একসময় সে তার চরিত্রের পরিবর্তন আনবে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আসরের নামাজের ফজিলত, আসরের নামাজের আমল এবং আসরের নামাজের নিয়ম জানেনা। আজকের পোষ্টে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি নামাজের ফজিলত রয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আসরের নামাজের ফজিলত জানেন না। তাই আজকের পোষ্টে আসরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের কর্ম দেখার জন্য রাতে এবং দিনে ফেরেশতারা পালাবদল করে থাকে। যে ফেরেশতারা রাতে আসে সেই ফেরেশতারা দিনে আসে না। অর্থাৎ রাতে একদল ফেরেশতা আসে এবং দিনে আরেকদল ফেরেশতা আসে।
যারা আসরের নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করলে ফেরেশতারা উত্তরে বলে বান্দারা নামাজের মধ্যে আছে। অর্থাৎ এ থেকে বুঝা যায় আসরের নামাজের ফজিলত কতটা বেশি।
সুতরাং আমাদের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করা। কারণ প্রত্যেকটি নামাজের আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হন। আল্লাহতালার কাছে সবথেকে প্রিয় ইবাদত হল নামাজ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর অনেক আমল রয়েছে। এই আমল গুলো করার অভ্যাস করলে আল্লাহর অধিক প্রিয় বান্দা হওয়া যায়। আসরের নামাজের পর যে আমলগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই।
যার ফলে অনেক মুসলিম আসরের নামাজের পর আমল গুলো সঠিকভাবে করতে পারে না। আসরের নামাজের পর সূরা নাবা পাঠ করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। কোন ব্যক্তি যদি আসরের নামাজের পর নিয়মিত সূরা নাবা পাঠ করে
তবে আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তি কে কেয়ামতের দিন শীতল পানি পান করাবেন। এছাড়াও আসরের নামাজের পর বিভিন্ন তাসবিহ পাঠ করলে অনেক নেকি পাওয়া যায়। আশা করি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনার অনেকেই জানতে পেরেছেন।
আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য সর্বপ্রথম উজু করে নিতে হবে। এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পাঠ করতে হবে। জায়নামাজের দোয়া পাঠ করা শেষ হলে চার রাকাত ফরজের নিয়ত পড়তে হবে।
নিয়ত বাংলা অথবা আরবি যেকোনো এক ভাবে বলা যায়। এরপর আল্লাহু আকবার বলে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হবে। অতঃপর সুবহানা রব্বিয়াল আযীম পড়তে হবে।
এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদা দিতে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়তে হবে। এভাবে দুইবার সেজদা দিতে হবে। প্রত্যেকটি রাকাত একইভাবে আদায় করতে হবে।
তবে চতুর্থ রাকাতে সেজদা দেয়ার পর তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহীম এবং দোয়া মাসুরা পড়ার পর সালাম ফেরাতে হবে। সব শেষে মোনাজাত ধরে নামাজ শেষ করতে হবে।