ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি এবং মৌলিক বিষয় কয়টি
বাংলা ভাষা প্রাচীন একটি ভাষা। বাংলা ভাষা মূলত প্রাকৃত ভাষা থেকে এসেছে। বাংলা ভাষার ইতিহাস রয়েছে। বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইলে ইতিহাস বিষয়ক বেশ কয়েকটি বই পড়তে পারেন।
আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি সে বিষয়ে। তাছাড়া ভাষার মৌলিক রীতি কয়টি এবং ভাষার মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি এ বিষয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি উক্ত বিষয়গুলো
জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বাংলা ভাষা প্রাচীন যুগে অস্ট্রিক ভাষা থেকে এসেছে। মূলত ভারত উপমহাদেশে নেগ্রিটোদের বসবাস ছিল। পরবর্তীতে অস্ট্রিকরা তাদের অপসারণ করে বা বিতাড়িত করে
এখানে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে দ্রাবিড়, ভোটচিনিওরা ধারাবাহিকভাবে এই উপমহাদেশে এসে মিলিত হয় এবং একটি সংকর জাতির সৃষ্টি হয়। যার মাধ্যমে বাংলা জাতির উদ্ভব। এজন্যই মূলত বাংলা দেশের মানুষকে অথবা বাংলাকে সংকর জাতি বলা হয়।
বাংলা ভাষার মৌলিক অংশ মূলত চারটি। সেগুলো হচ্ছে ধ্বনি, শব্দ, বাক্য, অর্থ। আমরা মুখ দিয়ে যা উচ্চারণ করি তাই ধ্বনি। আবার ধ্বনি থেকে শব্দের উৎপত্তি। শব্দের যদি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থ বুঝা যায় বা অর্থ প্রকাশ করে তাহলে সেটি বাক্যে পরিণত হয়।
তাই ধ্বনি, শব্দ, বাক্য, অর্থ এগুলা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। শব্দ ছাড়া কখনো বাক্য গঠিত হতে পারে না। আবার শব্দ থাকলেও যদি শব্দের মধ্যে অর্থ না বোঝায় তাহলে সেটি কখনোই বাক্য হতে পারে না।
বাক্য হওয়ার জন্য অবশ্যই একাধিক শব্দ থাকতে হবে এবং অর্থ থাকতে হবে। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই শব্দ বা ধ্বনি উচ্চারণের ক্ষেত্রে আমাদের ষড়যন্ত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভাষার মৌলীতি হচ্ছে মূলত কথা বলার রীতি। আমরা যদি কথা বলার মাধ্যমে ভাষা না পেতাম তাহলে সেই ভাষা কখনো লেখ্য রূপ পেতো না। তাই কথা বলার মাধ্যমে ভাষার মৌলিক রীতি সৃষ্টি হয়েছে।
আর আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আবিষ্কৃত হয়নি। বরং ব্যাকরণ ভাষা এর উপর নির্ভর করে। তাই আগে ভাষা তারপর ব্যাকরণ। ভাষা ছাড়া কখনোই ব্যাকরণের উৎপত্তি হতে পারেনা।
বাংলা ভাষায় স্বর বর্ণ হচ্ছে ১১ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ গুলো স্বরধ্বনি থেকে রূপান্তরিত হয়েছে। ধনী এর লেখ্য রূপকে বা ধ্বনি নির্দেশিত চিহ্ন কে বর্ণ বলা যায়। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি হচ্ছে সাতটি।
সেগুলো হচ্ছেঃ অ, আ, ই, উ, এ, ও , অ্যা। এই মৌলিক স্বরধ্বনি থেকে আমাদের অন্যান্য স্বরধ্বনিগুলো এসেছে। মৌলিক স্বরধ্বনি থেকে সর্বমোট ১১ টি স্বরবর্ণ পাওয়া যায়। বাংলা ভাষার স্বরধ্বনি, ব্যঞ্জনধ্বনি, স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ,
বাংলা ভাষার উৎপত্তি সহ ভাষার ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্ট গুলো দেখুন। আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিশেষ কয়েকটি প্রকাশ করা হয়েছে।