মাতৃত্বকালীন ভাতা ২০২৩-২০২৪ (অনলাইন আবেদন এবং ফরম PDF)
আমাদের দেশে অনেক মায়েরা আছেন যারা গর্ভধারণের বিষয়ে সচেতন না। যার জন্য অনেক মেয়েরা অল্প বয়সে গর্ভধারণ করে থাকেন। আর যারা বাল্য বয়সে বা অল্প বয়সে গর্ভধারণ করে সেই সকল মেয়েদের অনেক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে
বা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়ে থাকে। যার জন্য বর্তমান সময়ে আমাদের সরকার বাল্যবিবাহ রোধ করতে এবং বাল্যকালে মেয়েদেরকে গর্ভবতী হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
বাল্য বয়সে মেয়েরা গর্ভবতী হলে যেমন ঝুঁকির মুখে পড়ে তেমনি গর্ভবতী মায়েদেরকে সবসময় অধিক পরিমাণে যত্ন নিতে হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। কারণ গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের একাধিক পুষ্টি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র মেয়ে আছেন যারা গল্পকালীন সময় পুষ্টিকর সব ধরনের খাবার খেতে পারেন না। যার জন্য তাদের গর্ভের সন্তান অনেক সময় মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েরা স্বাস্থ্য অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে থাকে।
সেই সাথে সন্তান অস্বাভাবিক ভাবে জন্মগ্রহণ করে। এই সকল দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার মাতৃকালীন কিছু ভাতা দিয়ে থাকে। আমরা এখানে আজকে সেই মাতৃকালীন ভাতা নিয়ে আলোচনা করব।
সেই সাথে মাতৃকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন, মাতৃকালীন ভাতা কত টাকা এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ সকল বিষয়ে জানতে এই পোস্টের সাথে থাকুন।
আমাদের দেশে প্রতিবছরের সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা দিয়ে থাকে। এই মাতৃত্বকালীন ভাতার কর্মসূচি চালু করা হয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর মাধ্যমে ২০০৭ থেকে ২০০৮ অর্থবছরে এবং বর্তমান সময়ে ৪২৬ টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
একজন মা তার প্রথম অথবা দ্বিতীয় সন্তান এর ক্ষেত্রে এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে। কেউ যদি এই ভাতার আবেদন করে এবং তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাবেন।
প্রতি তিন মাস পরপর এই ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কে যদি আপনারা আরও বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের অন্য পোস্টগুলো দেখুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে
আমরা মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যদি মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে অনলাইনে আপনাদের আবেদন করতে হবে এবং অবশ্যই আপনাদের ভাতা গ্রহণ এর জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে
বা আবেদনের জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমন, ভাতা গ্রহণের ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের বয়স 20 থেকে 35 বছর এর মধ্যেই হতে হবে এবং সেই গর্ভবতী মায়ের একটি এন আইডি কার্ড থাকতে হবে। সেই সাথে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে প্রথম
এবং দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এই ভাতাটি গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যথায় তারা গ্রহনযোগ্য হবে না এবং পরিবারের মাসিক আয় সর্বোচ্চ 8 হাজার টাকা হতে হবে। তাহলে আপনারা অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আপনারা অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে। http://103.48.16.6:8080/LM-
যেমন, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে। সরকারি ভূমি কতৃক সনদ, ভোটার আইডি কার্ড, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, গর্ভকালীন সনদ নাগরিক সনদ। মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। যার জন্য অনেকে অনলাইনে প্রবেশ করে
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আমরা আপনাদের জন্য এখানে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনারা যদি মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনারা প্রতি মাসে 800 টাকা করে পাবেন এবং ছয় মাস পর পর আপনারা 4800 টাকা করে পাবেন।