মহিলাদের নামাজে ইকামত দিতে পারবে এবং দেওয়ার নিয়ম
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। নামাজ হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদত। অন্যান্য ফরজ ইবাদত গুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর এই প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শুরু করার আগে ইকামত দিতে হয়।
ইকামত হচ্ছে আজানের বাক্যগুলো ন্যায়। ইকামত দিতে হয় নামাজ শুরু করার আগে। ফরজ নামাজের আগে ইকামত দেওয়া হচ্ছে সুন্নত। আযান দিতে হয় ধীরস্থিরভাবে এবং ইকামত দিতে হয় তাড়াতাড়ি।
আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব মহিলাদের নামাজের ইকামত নিয়ে এবং ইকামত ছাড়া নামাজ হবে কিনা এই বিষয়ে। আপনার যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ইকামত নিয়ে অনেক মহিলাদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। অনেক মহিলারাই জানেনা যে, মহিলাদের নামাজে ইকামত দেয়া যাবে কিনা। তাই আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব মহিলাদের নামাজের ইকামত নিয়ে।
মহিলাদের ইকামত নিয়ে অনেকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। অনেক মহিলারা মনে করেন যে মহিলারা নামাজের আযান ও ইকামত দিতে পারবে না। আবার অনেকে মনে করেন ইকামত দিতে পারবে।
এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে হযরত আয়েশা (রাঃ) সবসময় নামাজ শুরু করার আগে ইকামত দিতেন। মহিলারা নামাজে ইকামত দিতে পারবে কিনা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য হচ্ছে মহিলারা নামাজে ইকামত দিতে পারবে।
মহিলাদের ইকামত দেওয়া হচ্ছে মুস্তাহাব। কোন মহিলা যদি নামাজে ইকামত না দেয় তাহলে তার নামায আদায় হবে। আর যদি ইকামত দেন তাহলেও কোন সমস্যা হবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আযান দেওয়ার পর নামাজ শুরু করার আগে ইকামত দিতে হয়। ফরজ নামাজের আগে ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেক সময় অনেক ব্যক্তি নামাজ শুরু করার আগে ইকামত দিতে ভুলে যায়।
তখন ওই ব্যক্তি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায় যে ইকামত ছাড়া তার নামায আদায় হবে কিনা. তাই আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব ইকামত ছাড়া নামাজ হবে কিনা।
কেউ যদি ইকামত না দিয়ে নামাজ শুরু করে ফেলে তখন তার নামায আদায় করা হবে। কেউ যদি নামাজ শুরুর আগে ইকামত না দেয় তাহলে তার কোন গুনাহ্ হয়না। তবে নামাজ শুরুর আগে ইকামত দেওয়া উত্তম।
জামাতে নামাজ আদায় করার সময় মুয়াজ্জিন সামনে দাঁড়িয়ে ইকামত দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অন্য সকলকে আর ইকামত দিতে হয়না।নামাজের জন্য দাড়িয়ে ফরজ নামাজ শুরু করার আগে মোয়াজ্জিন যখন
সামনে দাঁড়িয়ে ইকামত দেন তখন নামাজ আদায়কারী সকল ব্যক্তিকে তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয়। আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো প্রায় একই। তবে আযান ও ইকামত এর মধ্যে সামান্য একটু ভিন্নতা রয়েছে।
যেমন, ইকামতে “হাইয়া আলাল ফালা” এরপরে “কদকমাতিস সালাত” বলতে হয়। মুয়াজ্জিন যখন “কদকমাতিস সালাত” বলে তখন এর জবাবে সকল নামাজী ব্যক্তিকে বলতে হয় “আকমাহাল্লাহু ওয়া আদামাহ্”
নামাজের ইকামত কিভাবে দিতে হয় এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অনান্য কতগুলো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ে নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম জানতে পারবেন।