ফেরাউনের লাশ কত বছর পানিতে ছিল (ক্লিক করে জানুন)
আপনারা কি ফেরাউনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অথবা ফেরাউন কোন নদীতে ডুবে মারা গিয়েছিল এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? অথবা আপনারা কি জানতে চাচ্ছেন যে ফেরাউনের লাশ কত বছর পানিতে ছিল?
যদি এই সকল বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। কারণ আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেরাউনের ঘটনা সম্পর্কে।
এছাড়াও আমরা শেয়ার করব যে ফেরাউন কোন নদীতে ডুবে মারা যায় এবং ফেরাউনের লাশ কত বছর পানিতে ছিল এ বিষয়ে। তাই দেরি না করে এখনই আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ফেরাউন কোন ব্যক্তির নাম নয়। এটি হচ্ছে একটি উপাধি। বনী ইসরাইলের সময় মিশরের রাজা বাদশাদেরকে ফেরাউন বা ফারাও নামে অভিহিত করা হতো। ওই সময় মিশরে যারাই রাজার সিংহাসনে বসত তাদেরকে ফেরাউন নামে সম্বোধন করা হতো।
মিশরের ফেরাউনের আসল নাম ছিল কবউস। এই ফেরাউন ছিল অত্যন্ত কঠুর এবং নির্দয়। তিনি মিশরের দুর্বৃত্তদের উপর অনেক অত্যাচার করেন মিশরের যত গরিব দুর্বল লোক আছে তাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করেন
এবং তাদেরকে হত্যা করেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে সবসময় খোদা দাবি করতেন। আল্লাহকে তিনি বিশ্বাস করতেন না। আর এর জন্য আল্লাহ তাআলা তার শাসনকে ধ্বংস করার জন্য দুনিয়াতে হযরত মুসা (আঃ)কে প্রেরণ করেন।
আল্লাহ তাআলা তার মাধ্যমে ফেরাউনকে ধ্বংস করে। আল্লাহ তাআলা ফেরাউনকে এবং তার সৈন্যচারকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারেন। এ সাগরে ডুবে মরার পর তার লাশ অনেক বছর পানিতে ছিল।
আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের লাশকে আল্লাহর কুদরতিভবে ভালো রেখেছিলেন দুনিয়ার মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। ফেরাউন স্বপ্ন দেখেছিল যে বনী ইসরাইলের একমাত্র সন্তান তার শাসন আমলকে ধ্বংস করে দেবে।
এর জন্য সে বনী ইসরাঈলের যত পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করত তাদেরকে হত্যা করত। কিন্তু ফেরাউন তাকে মারতে পারেনি। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আঃ) যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন তার মা তাকে একটি সিন্দুকে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেযন।
আর তখন মুসা (আঃ) ফেরাউনের ঘাটে যায়। তখন ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া মুসা (আঃ) কে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যায় এবং তাকে লালন পালন করে বড় করে। আর আল্লাহ তাআলা এই মূসা (আঃ) এর মাধ্যমেই ফেরাউনকে ধ্বংস করে
মুসা (আঃ) বড় হওয়ার পর যখন ফেরাউন জানতে পারে যে মুসা (আঃ) এই ফেরাউনের শাসন আমলকে ধ্বংস করে দিবে তখন ফেরাউন মুসা (আঃ) কে হত্যা করার জন্য তার সেন্যশিবির নিয়ে মুসা (আঃ) ও তার অনুসারীদের পিছু নেয়।
তখন ফেরাউন এর হাত থেকে হযরত মুসা (আঃ) ও তার অনুসারীরা বাঁচার জন্য লোহিত সাগরের সামনে গিয়ে আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আঃ) তার হাতের লাঠি দিয়ে পানিতে স্পর্শ করে।
তখন আল্লাহ তাআলার নির্দেশে সমুদ্রের পানি দুভাগ হয়ে যায় এবং একটি রাস্তা সৃষ্টি হয়। সেই রাস্তা দিয়ে মুসা (আঃ) ও তার অনুসারীরা সাগর পাড় হয়ে যায়। তখনই ফেরাউন মুসা (আঃ) এর পিছু নিতে নিতে সমুদ্রের মাঝখানে চলে যায়।
তখন আবার আল্লাহ তাআলার নির্দেশে সমুদ্রের পানি এক হয়ে যায় এবং রাস্তা অদৃশ্য হয়ে যায়। আর তখনই ফেরাউন ও তার সৈন্যরা লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়। তবে অনেকেরই মতবাদ যে ফেরাউন নীল নদে ডুবে মারা গিয়েছে।