রোজার নিয়ত ছবি, আরবী এবং বাংলায় নিয়ত এখানে ক্লিক করে দেখুন
আল্লাহ তাআলার অন্যান্য ফরজ ইবাদত গুলোর মধ্যে রোজা একটা। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোযা না রাখে তার অনেক গুনাহ হয়।তাই প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত রোজা রাখা।অনেকে ফরজ রোজা ছাড়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নফল রোজা রেখে থাকে।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে রমজান মাসে 30 টি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। রোজার আরবি শব্দ হচ্ছে সাওম। সাওমকে ফারসি ভাষায় রোজা বলা হয়। রোজা হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারাদিন উপবাস করে থাকা
এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা জিকির করা। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা রহমত নাযিল করেন। রোজা রাখার জন্য আলাদা আল্লাহ তাআলা কতগুলো নিয়মকানুন নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
আল্লাহর নির্ধারিত নিয়মে রোজা রাখতে হয়। আমার আজকের পোস্টে আলোচনা করব রোজার নিয়ত ও রোজার নিয়ত করা ফরজ কিনা এই বিষয়ে। রোজা রাখতে হলে প্রথমে রোজার জন্য নিয়ত করতে হয়।
কেউ যদি রোজা রাখার নিয়ত না করে রোজা রাখে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার রোজা কবুল করবেন না। রোজা রাখতে হলে অবশ্যই প্রত্যেক ব্যক্তিকে আগে রোজার নিয়ত করতে হবে।
কিন্তু অনেক মুসলমান ব্যক্তিরাই জানে না যে কিভাবে রোজার নিয়ত করতে হয় ও রোজা রাখার পর কি কি করতে হয়। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে।
আপনারা যারা রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। রোজার মাসে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে রহমত বর্ষণ করেন
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
এবং সকল কবরবাসীকে তাদের শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত রাখেন। রোজার মাসে যে যত বেশি আমল করবে তার তত বেশি সওয়াব হবে।রোজা রাখতে হলে রোজার নিয়ত করতে হয়। কেউ যদি আরবীতে নিয়ত করে তাহলে
তাকে বলতে হবে” নাওয়াইতুয়ান আছুমা গদাম মিনশাহরি রমাদ্বানাল মোবারকা ফাব্দুল্লাকা হে আল্লাহ ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম” রোজার নিয়ত আরবীতে ও বাংলায় দুইভাবেই করা যাবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয় বা রোজা রাখলে কি হয় এই বিষয়ে আরো কতগুলো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি রোজা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে
আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন এবং অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে থাকুন। ঐ পোস্টগুলোর মাধ্যমে আপনারা রোজা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমরা কোন কাজ করতে গেলে ওই কাজের জন্য প্রথমে নিয়ত করে থাকি। তেমনি রোজা রাখতে গেলও রোজার জন্য নিয়ত করতে হয়। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে রোজার নিয়ত করা ফরজ কিনা।
তাই আমরা এই পোস্টে রোজার নিয়ত করা কি ফরজ কিনা এ বিষয়ে আলোচনা করব। রোজা রাখতে হলে কেউ যদি মুখে নিয়ত না করে মনে মনে রোজার জন্য নিয়ত কর তাহলে ওই ব্যক্তির নিয়ত করা হবে। মুখে নিয়ত না করলে ও রোজা হয়।
কোন কাজের জন্য নিয়ত করতে হলে মুখে বলতে হয় না। কেউ যদি মনে মনে ওই কাজ করার কথা ভাবেন তাহলে তার নিয়ত করা হয়ে যায়। আর তাই মুখে নিয়ত না করে কেউ যদি মনে মনে রোজা রাখার কথা চিন্তা করে তাহলে তার নিয়ত করা হয়ে যাবে।