প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য ২০২৪ (ক্লিক করে) স্কুলের শপথ বাক্য ২০২৪ দেখুন
শপথ এর বাক্যগুলোর মর্মার্থক যিনি উপলব্ধি করেন, ব্যক্তিগত জীবনে যার বাক্যগুলোর চর্চা আছে, তার জন্য এ বাক্যগুলো খুবই অর্থবহ। আর যার উপলব্ধিতে নেই, যিনি মনে করেন এটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, তিনি লক্ষবার এই বাক্য উচ্চারণ করলেও
তা কোন কাজে আসবেনা। শপথ বাক্য সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিকের উচিত সঠিক জ্ঞান থাকা। তাই আজকের পোস্টটিতে শপথ সম্পর্কিত যে সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করছি তা হলো- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শপথ বাক্য, শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম,
শপথ বাক্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা। ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে যে- ঐতিহ্যগতভাবে একটি শপথ হয় সত্যের একটি বিবৃতি বা সত্যের চিহ্ন হিসেবে একটি পবিত্রতা দ্বারা নেওয়া একটি প্রতিশ্রুতি।
Table of Contents
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য ২০২৪
পশ্চিমা দেশগুলোতে শপথকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। ওই দেশগুলোতে শপথ বরখেলাপ অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মনে করে সেখানকার জনসাধারণ। ইউরোপ বা আমেরিকায় কেউ শপথ ভঙ্গ করেছেন প্রতি ওমান হলে
তার সারা জীবনের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। আর তা পুনরুদ্ধারের সুযোগ থাকে না। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনেও আছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। সূরা আল মায়েদা আয়াত নম্বর 89 এ উল্লেখিত আছে আল্লাহ তোমাদের দায়ী করেন না অনর্থক শপথের জন্য,
কিন্তু ওই শপথের জন্য দায়ী করেন যা তোমরা গুরুত্বের সঙ্গে করো। সুতরাং আমরা বলতে পারি সব দেশের শপথ পাঠের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শপথ বাক্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শপথ বাক্য বাংলাদেশ
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই শপথ বাক্য পাঠ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাধারণত ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি বেসরকারি প্রাত্যহিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য ২০২৪
এই সমাবেশে শরীরচর্চার পাশাপাশি শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। এক্ষেত্রে কোথাও কোথাও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শপথ পড়ানো রেওয়াজ আছে, আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ওভিন্ন না হলেও এসব শপথের প্রধান মর্মার্থ দেশ প্রেম।
এছাড়া জাতীয় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পাঠ করানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত নতুন শপথ বাক্যটি হলো- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তান শাসকের
শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
শোষণ ও ব্যঞ্জনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয় মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দীপ্ত কন্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হবে বলে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শপথ বাক্য হল একগুচ্ছ শব্দ বা কয়েকটি বাক্য যা কোন ব্যক্তিকে পড়ানো হয়।
কোন বিশেষ দায়িত্ব দেবার সময় ধারণা করা হয় তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর তার করা শপথের মর্যাদা রাখবেন এবং যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কোন কোন দেশে শপথ বাক্য পাঠ করানোর সময় ধর্মীয় গ্রন্থ হাতে স্পর্শ করানো হয়ে থাকে।
শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য
মনে করা হয় ধর্মীয় গ্রন্থ স্পর্শ করার মাধ্যমে শপথ কারী তার শপথ সৃষ্টিকর্তার সাথে করছেন বলে মনে করবেন এবং সৃষ্টিকর্তার ভয়ে হলেও তিনি তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন না।
মানুষের সেবা করার মাধ্যমে দেশের আইন কানুন মেনে চলে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে অন্যায়কে রুখে দিতে দেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র পরিণত করে তোলার জন্য।
শপথ করার প্রথম বাক্যটি হলো মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিজে তো রাখিব। তার মানে আমার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সেবা করা আর ধ্যান ধারণা সেই মানুষের সেবাকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণমান হবে।