এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়
নামাজের মধ্যে এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এশার নামাজ সম্পর্কে হাদীস শরীফে আছে “যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬)
আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে এশার নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং কত রাকাত এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
মহিলা এবং পুরুষদের নামাজের কিছু ভিন্নতা রয়েছে। আজকের এই পোস্টে এশার নামাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
এশার নামাজ কয় রাকাত ও নিয়ত
এশার নামাজ চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ এবং দুই রাকাত সুন্নত। অর্থাৎ মোট ১০ রাকাত।চার রাকাত ফরজ আবশ্যিক।অর্থাৎ কোনভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। এশার নামাজের পর তিন রাকাত বেতর নামাজ আদায় করতে হয়। বেতর নামাজ এশার নামাজের মধ্যে পড়ে না।
এশার চার সুন্নত এর নিয়তঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
এশার চার রাকাত ফরজের নিয়তঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি এশায়ি ফারদুল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতি সালাতিল এশায়ি সুন্নাতু রাসুূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
দেখুনঃ ফজরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
দিনের শেষ নামাজ হচ্ছে এশার নামাজ। এশার নামাজের ওয়াক্ত মাগরিব নামাজের ওয়াক্তের পরই শুরু হয়ে যায় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকে।
তবে কেউ যদি মধ্যরাতে এশার নামাজ আদায় করে তবে তা মাকরুহ হয়ে যাবে।জরুরী কাজ থাকলে সুবহে সাদিক এর আগ পর্যন্ত এশার নামাজ আদায় করা যায়।
মহিলাদের এশার নামাজ পড়ার নিয়ম
এশার চার রাকাত সুন্নতঃ জায়নামাজের দোয়া দিয়ে নামাজ শুরু করতে হবে। এশার চার রাকাত সুন্নতের নিয়ত বাঁধতে হবে বুকে হাত বেধে। নিয়ত শেষ হলে সানা পাঠ করতে হবে।অতঃপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত এবং দোয়া
সুবহানা রব্বিয়াল আযীম যেকোনো বেজোড় সংখ্যা বার পড়তে হবে।এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রাব্বানা লাকাল হামদ বলেই সেজদা দিতে হবে।সেজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।
এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়
আল্লাহু আকবার বলে আবার একইভাবে সিজদা দিতে হবে। অতঃপর দ্বিতীয় রাকাত শুরু করতে হবে। এভাবেই বুকে হাত দিয়ে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলিয়ে নিতে হবে। এভাবে একই প্রক্রিয়ায় নামাজ পড়তে হবে।তবে দ্বিতীয় রাকাতের বেলায় সিজদার পর তাশাহুদ পাঠ করতে হবে। আবার তৃতীয় রাকাত শুরু করতে হয়। অর্থাৎ আবার বুকে হাত দিয়ে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।একই প্রক্রিয়ায় সিজদার পর চতুর্থ রাকাত শুরু করতে হবে।চতুর্থ রাকাত তৃতীয় রাকাতের মতই।পার্থক্য শুধু সিজদার পর তাশাহুদ,দুরুদে ইব্রাহীম এবং দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হবে। অতঃপর মোনাজাত ধরতে হবে।
দেখুনঃ যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
দেখুনঃ আসর নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
এশার চার রাকাত ফরজঃ এশার চার রাকাত ফরজ চার রাকাত সুন্নত এর মতই।পার্থক্য শুধু চার রাকাত ফরজ এর মধ্যে প্রথম দুই রাকাতের পর অর্থাৎ তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন সূরা মিলাতে হবে না। বাকি নিয়ম গুলো একই থাকবে। তবে অবশ্যই বুকে হাত দিয়ে সূরা পাঠ করতে হবে।
এশার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
এশার দুই রাকাত সুন্নতঃ এশার দুই রাকাত সুন্নত এর নিয়ম চার রাকাত সুন্নত এর মতই। শুধু নিয়ত এ কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে এবং দুই রাকাতের পর সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত ধরতে হয়।এভাবে দু’রাকাত শেষ করতে হয়।
দেখুনঃ মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
দেখুনঃ এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
এশার নামাজ সর্বমোট ১০ রাকাত।প্রথমে চার রাকাত সুন্নত আদায় করতে হয়।এরপর চার রাকাত ফরজ এবং সবশেষে দুই রাকাত সুন্নত। এশার নামাজ শেষ হলে তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হয়।
বেতের নামাজ এশার নামাজের মধ্যে গণ্য হয়না। এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এশার নামাজ আদায় করা উত্তম। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার এশার নামাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে সক্ষম হয়েছেন।তাই আমি মনে করি এই পোস্টটি আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।