দারুচিনির উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম [মধু ও দারুচিনির উপকারিতা] জানতে ক্লিক করুন
দারুচিনির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দারুচিনি খেতে ভালোবাসেন। আজকের পোষ্টটিতে আমরা দারুচিনির উপকারিতা, অপকারিতা,
দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। দারুচিনি পেটের ব্যথার জন্য ভীষণ উপকারী। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে ও পেটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
পেট পরিষ্কার করতে রাতে শোবার আগে দারুচিনি সঙ্গে হরীতঁকী গুঁড়া মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। দারুচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হৃদ রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। দারুচিনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
দারুচিনি দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ইস্ট, ছত্রাক, ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে দারুচিনির গুনাগুন চমৎকার ভাবে কাজ করে।
দারুচিনি মরণব্যাধি লিম্ফোসাইটিক, লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধ করে। রক্ত জমাট বাঁধার অসুখ হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করে দারুচিনির। ঘ্রাণ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও দারুচিনি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী,
তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক না। অতিরিক্ত পরিমাণে দারুচিনি খাওয়া লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে দারুচিনি খেলে মাথাব্যথা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের দারুচিনি খাওয়া উচিত নয়
কারণ এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে। দারুচিনির শরীরের রক্ত কম করতে পারে, ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত দারুচিনি খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনি সাহায্য করে।
টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যকর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে দারুচিনির চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। পৃথিবীর সেরা 7 টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা মধ্যে রয়েছে দারুচিনি।
তাই প্রতিদিন দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ম্যাঙ্গানিজ যা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা পি এম এস এর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে আক্রান্ত হলে দারুচিনি চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় কারণ এই মসলা পাকস্থলীর ব্যাকটেরিওফাজ দমন করতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ও টিউমার মেলানোমা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়
তার সম্ভাবনা কমাতে দারুচিনি সাহায্য করে। প্রতিদিন 2 ইঞ্চি পরিমাণের দারুচিনি 2 কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে সেই পানি এক কাপের মত করে খেলে টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর একটি উপাদান। দারুচিনি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। দারুচিনি পোলাও খিচুড়ি ইত্যাদি রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাদ্য রান্না করতেও দারুচিনির ব্যবহার করা হয়।
দারুচিনি ঔষধি গুনাগুন এর জন্য সকলের কাছে পরিচিত। দারুচিনির রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে দারুচিনির পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপযোগ।
দারুচিনির ঘ্রাণ মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ায। যুগ যুগ ধরে দারুচিনি মানুষের রান্না করা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে আসছে বর্তমানেও দারুচিনির চাহিদা ব্যাপক। ঝাল থেকে শুরু করে মিষ্টি জাতীয় খাবারের দারুচিনির তুলনা নেই।