মাগরিবের নামাজের পর নফল নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে নিন
আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা এবং একাগ্রতা প্রকাশের একমাত্র উপায় হলো নামাজ। প্রতিদিনের অল্প কিছু সময় নামাজের জন্য ব্যয় করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। যে কোন প্রকারের পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য নামাজের কোন বিকল্প নেই।
একজন মুসলিম যত বেশি অন্যায় কাজ করুক না কেন তাকে নামাজ বাদ না দেওয়ার জন্য বারবার বলা হয়। কারণ নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মুসলিম এর চরিত্রে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসতে দেখা যায়।
তবে নামাজ অবশ্যই নিখুঁতভাবে পড়তে হবে। আমাদের আজকের পোস্টে মাগরিব নামাজের পরে যে নফল নামাজ আদায় করতে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় প্রত্যেকে উপকৃত হবে।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। ফরজ এবং সুন্নত নামাজের পরে রয়েছে নফল নামাজ। নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়, অসীম বরকত লাভ করা যায়।
সহস্ত্র গুনার কাফফারা দেওয়া যায় নফল নামাজের মাধ্যমে। যারা নফল নামাজ আদায় করেন তাদের প্রতি আল্লাহর অসীম রহমত বর্ষিত হয়। নফল নামাজের মাধ্যমে প্রতিদিনের কবিরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
নফল নামাজ পড়লে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। নফল নামাজের কোন নির্ধারিত সীমানা নেই। যত বেশি নফল নামাজ আদায় করা যায় ততো বেশি সওয়াব লাভ করা যায়। অবসর সময় গুলোতে নফল নামাজ আদায় করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন।
মাগরিবের নামাজের পরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। আপনাদের মধ্যে অনেক নফল নামাজ আদায়ের নিয়ম জানেনা। আজকের পোষ্টে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
অনেক মুসলিম আছে যারা নফল নামাজ আদায়ের নিয়ম জানেনা। নফল নামাজ আদায়ের জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে নিয়ত করতে হবে। নফল নামাজ দুই রাকাত থেকে অসংখ্য রাকাত পর্যন্ত আদায় করা যায়।
নামাজের শুরুতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত পড়তে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে সানা পড়ে সূরা ফাতিহা এবং অন্য যে কোন সূরা পড়তে হবে। এরপর সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম বেজোড় সংখ্যকবার বলতে হবে।
এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলার পর সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বেজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে পুনরায় সেজদা দিতে হবে।
এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাত একইভাবে আদায় করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সিজদা দেওয়ার পর তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহীম এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফেরাতে হবে। সব শেষে মোনাজাত ধরতে হবে।
মুসলমানদের ফরজ ইবাদতের মধ্যে রয়েছে নামাজ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয় মুসলমানদের। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আরো একটি ইবাদত আছে নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের মধ্যে নফল নামাজ অন্যতম।
অনেকগুলো নফল নামাজ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো তাহাজ্জুদ নামাজ, ইশরাক নামাজ, চাশতের নামাজ, যাওয়াল নামাজ, আওয়াবীন নামাজ ইত্যাদি। এই নফল নামাজ গুলো আদায় করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন।
প্রত্যেকটি নফল নামাজের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থাকে। তবে বেশিরভাগ নফল নামাজ যেকোনো সময় আদায় করা যায়। অনেকে নফল নামাজের টাইম সম্পর্কে জানেনা। আজকের পোষ্টে নফল নামাজের টাইম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।