মহররম মাসের ফজিলত ও আমল, গুরুত্ব, তাৎপর্য [এখানে দেখুন]
মহররম মাস পবিত্র মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাস। আমরা সাধারণত জিলহজ, জিলকদ, মহররম রজব মাস ফজিলতপূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে মহররম মাসের
তাৎপর্য করণীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনারা এর মাধ্যমে সকল তথ্য জানতে পারবেন। চার সম্মানিত মাসের প্রথম মাস মহররম, যাকে আরবের অন্ধকার যুগের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হতো।
আবার হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। শরিয়তের দৃষ্টিতে যেমন এ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণও অনেক দীর্ঘ।সুতরাং বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।
ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পাই মহররম সম্পর্কে ইসলামের ইতিহাস ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ মাসের নামকরণ থেকে প্রতীয়মান হয় এ মাসের ফজিলত। মহররম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
যেহেতু অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য এবং রহস্যময় তাৎপর্য রয়েছে ঘিরে এই মাসকে ঘিরে। সঙ্গে সঙ্গে এই মাসের যুদ্ধ-বিগ্রহ কে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছিল। এসব কারণে এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ মাস।
তাই এ মাসের নামকরণ করা হয়েছে মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে। সুতরাং এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে। মহরম মাসে আপনারা নফল রোজা রাখতে পারেন।
এছাড়া রোজাদারদের ইফতার করতে পারেন। যা আপনার আরও বেশি সউয়াব বাড়াবে। এজন্য মহরম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকুন এবং বেশি বেশি নফল ইবাদত করেন। আল্লাহ তাআলার কাছে খুবই পছন্দ এই মাস।
মহরম হিজরী বছরের প্রথম মাসে হয়। এ মাসের 10 তারিখে আশুরা বলা হয়। বছরের প্রথম মাস আশুরা অত্যন্ত সম্মানিত। এর পিছনে রয়েছে ঐতিহাসিক তাৎপর্য। অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী পবিত্র আশুরা।
এ আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আশুরা উপলক্ষে দুই দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। মহররমের ১০ তারিখের আগে বা পরে এক দিন বাড়িয়ে রোজা রাখার কথা হাদিস শরিফে এসেছে। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল।
আশা করি আপনারা মহরম মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন এবং নফল নামাজ আদায় করবেন। এতে আল্লাহতায়ালা খুবই খুশি হবেন। এ ছাড়া অন্যের সাথে ঝগড়া বিগ্রহ এবং যুদ্ধ থেকে দূরে থাকবেন।
কারণ মহররম মাস শান্তির মাস এবং যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে দূরে থাকার মাস। রহমান মাসের ফজিলত আপনারা জানতে চান মহরম মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
কোরআন শরীফ এবং হাদিসে এসেছে আশুরার রোজা সম্পর্কে এবং আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে। বেশকিছু নফল রোজা করতে পারেন। এজন্য আশুরার আগের দিন এবং আশুরার পরের দিন দুটি নফল রোজা রাখা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ।
আহলে বাইত তথা নবীর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাতের কারণে তাদের জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া এবং তাদের কাছ থেকে সত্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা গ্রহণ করা। এই তিনটি কাজ ছাড়া আশুরায় অন্য কোনো আমল নেই।
আশা করি বন্ধুরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে পবিত্র মহররম মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে দিতে পেরেছি। আর যদি কোন তথ্য পেতে চান ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিতে পারেন।