ফেরাউন এর ইতিহাস, ব্যবসা, ছবি (এখানে দেখুন)
আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেরাউনের ইতিহাস সম্পর্কে। এছাড়াও আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেরাউন কি এবং ফেরাউনের লাশ কি করা হয়েছে এই সকল বিষয়ে।
আপনারা যদি এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ফেরাউনকে নিয়ে আমাদের ইসলামে একটি ঘটনা রয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে অনেকগুলো আয়াতে ফেরাউন ও মুসা (আঃ) এর অনেক বর্ণনা দিয়েছেন। ফেরাউন ছিল খুবই গরিব একজন ব্যক্তি। ছোটবেলায় তার বাবা-মা মারা যায়।
সেই ধীরে ধীরে অনেক প্রতারণা করে মিশরের ফেরাউন হয়। ফেরাউন হওয়ার পর সে মিশরের সকল গরিব মানুষদের উপর অত্যাচার করে। এছাড়াও সে আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাস করত না এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করত।
মিশরের ফেরাউন যখন মানুষের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালাতো এবং সে তার পাপের সীমালংঘন করে তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ধ্বংস করার জন্য মুসা (আঃ) কে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন।
মুসা (আঃ) দুনিয়াতে আসার আগে ফেরাউন একটি স্বপ্ন দেখেন যে, বনি ইসরাইলের বংশে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করবে। যে তার শাসন আমলকে ধ্বংস করে দেবে।
আর এই স্বপ্ন দেখার পর ফেরাউন বনী ইসরাইলে যত পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করতো তাদেরকে হত্যা করত। কিন্তু মিশরের অর্থনীতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে তিনি এক বছর পুত্র সন্তান হত্যা থেকে বিরত থাকেন আবার পরের বছর পুত্র সন্তানকে হত্যা করেন।
এভাবেই তেমনি এক বছর যখন বনী ইসরাঈলের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করা হয় তখন হযরত মুসা (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তখন আল্লাহ তাআলার নির্দেশে মুসা (আঃ) এর মা তাকে একটি সিন্দুকে ভরে পানিতে ভাসিয়ে দেয়
এবং তিনি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের ঘাটে গিয়ে পৌঁছেন। তখন ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া তাকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যায়। আর আল্লাহর কুদরতি ভাবে মূসা (আঃ) ফেরাউনের ঘরে বড় হতে থাকে।
ফেরাউন কি বা ফেরাউন কাকে বলা হয় এ বিষয়টি অনেকেই জানে না। তাই আমরা এই পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে ফেরাউন হচ্ছে একজন ব্যক্তির নাম।
যারা ফেরাউন একটি ব্যক্তির নাম মনে করেন তারা একটি ভুল ধারণা পোষণ করছেন। কারণ ফেরাউন কোন ব্যক্তির নাম নয়। ফেরাউন হচ্ছে একটি উপাধি। বনী ইসরাইলের যুগে রাজা বাদশাদেরকে ফেরাউন বা ফারাও বলে সম্বোধন করা হতো
আল্লাহ তাআলা ফেরাউনকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারেন। আল্লাহর কুদরতিভাবে দীর্ঘ অনেক বছর তার লাশ পানিতে অক্ষত অবস্থায় ছিল। এরপর তার লাশ উদ্ধার করে
মিশরের জাতীয় জাদুঘরে রেখে দেয়। আল্লাহ তায়ালা ফেরাউনের লাশকে অক্ষত রেখেছেন কারণ মানুষ যেন ফেরাউনের ভয়াবহ অবস্থা দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে
এবং কেউ যেন ভবিষ্যতে ফেরাউনের মত আচরণ না করে এ সকল কারণে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ফেরাউনকে দেওয়া শাস্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।