দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায় এবং ঔষধের নাম
আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব দাঁতের মাড়ি কেন ফোলে যায় সেই বিষয়ে এবং দাতেঁর মাড়ি ফোলে গেলে বা ব্যথা হলে করণীয় কি সেই বিষয়েও এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে
পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুণ। আমাদের অনেকের কাছেই দাঁত হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে অবহেলিত অঙ্গ। আমরা অনেকেই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের যথাযথ পরিচর্যা করলেও আমাদের দাতঁ পরিচর্যার দিক থেকে অবহেলিত হয়ে থাকে।
সেজন্যই তো একটি প্রবাদ আছে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে হয়। যাইহোক, আমাদের অন্যান্য সকল অঙ্গের তুলনায় আমাদের দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে। কেননা দাতঁ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ।
আমাদের দাঁত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ব্যথা করে থাকে। দাঁত ব্যাথা করলে আমরা বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে দাতঁ ব্যাথা দূর করতে পারি। আমরা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমাদের দাঁত ব্যথা কমাতে চাই,
তাহলে আমরা গরম পানির স্যাক দিতে পারি। গরম পানির স্যাক পেট ব্যথা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যথা প্রশমিত করতে ভূমিকা পালন করে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, গরম পানির স্যাক দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের
ব্যথা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়না। ব্যথা প্রশমিত করে রাখা যায়। তবে অনেকের কাছে গরম স্যাক না দিয়ে ঠান্ডা স্যাক দিলে ভালো লাগে। তাই আপনি আপনার প্রয়োজন মতো যেকোনো স্যাক দিতে পারেন।
তাছাড়া আমরা আমাদের দাঁত ব্যথা কমানোর জন্য লবনের পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারি। লবনের পানি দিয়ে কুলকুচি করার অর্থ হচে্ছ হালকা গরম কুসুম গরম পানিতে পরিমান মতো লবন দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে লবনের পরিমাণ এমন হতে হবে যেন সমুদে্রর পানি মুখে দিলে লবনের যেমন আধিক্য পাওয়া যায় ঠিক সেরকম। আমাদের দাতেঁর মাড়ি বিভিন্ন কারণে ফোলে যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়া জনিত কারনে আমাদের দাতেঁর মাড়ি ফোলে যেতে পারে।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়
আবার আমাদের দাতেঁর প্রয়োজনীয় যত্নের অভাবে আমাদের দাতের মাড়ে ফোলে যেতে পারে। দাতের গোড়ায় খাবার জমে থাকলেও সেই খাবার থেকে ব্যাকটেরিয়া হয়ে আমাদের দাতের মাড়ি ফোলে যেতে পারে।
দাতের গোড়ায় খাবার জমে থাকলে আমাদের মুখে প্রচুর পরিমানে দুর্গন্ধ হয়। এই সমস্য প্রতিকারের জন্য আমাদের প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাতঁ ব্রাশ করতে হবে। দাতেঁর মাড়ি ফোলে গেলে বা ব্যথা হলে আমরা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড
ব্যবহার করতে পারি। এটি জীবানু মেরে ফেলতে সাহায্য করে। অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক হাইডে্াজেন পার অক্সাইড নিয়ে মুখের ভেতর ২০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে এই পানি কোনো ভাবেই যেনো পেটের মধ্যে চলে না যায় সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।
এই সাধারন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আপনার দাতেঁর মাড়ির সমস্যা দূর না হলে আপনার অবশ্যই একজন ডেন্টিস্ট এর শরনাপন্ন হওয়া উচিৎ। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখতে পারেন।