আকীকার দোয়া (বাংলা ও আরবিতে) উচ্চারণ সহ দেখুন

আকীকার দোয়া (বাংলা ও আরবিতে) উচ্চারণ সহ দেখুন

আপনারা কি আকিকা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনারা আকিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করেছি আকিকার দোয়া নিয়ে।

এছাড়াও আলোচনা করেছি ছাগল দিয়ে আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন?

তাহলে আপনারা আকিকা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আকিকা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একটি সুন্নত এবাদত। এটি ইসলামী শরীয়তের একটি বিধান। আকিকা হচ্ছে সন্তান জন্মগ্রহণের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ

ও সন্তানের কল্যাণ কামনায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে পরশু কোরবানি করা। আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়। কেউ যদি নিয়ম অনুসরণ

না করে আকিকা দেয় তাহলে তার আকিকার সুন্নত আদায় করা হয় না। আকিকা দিতে হয় সন্তানের কল্যাণ কামনার জন্য এবং সন্তান জন্মের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য।

আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পশু কুরবানী দিতে হয়। আর এই পশু জবাই করার আগে একটি দোয়া পড়তে হয়। অনেকেই জানে না আকিকা দেওয়ার আগে কোন দোয়া পড়তে হয়।

তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে আকিকার দোয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং আকিকার দোয়া উল্লেখ করেছি। আপনারা যদি আকিকার দোয়া শিখতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন।

আকিকা ছাড়াও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনন্যা ইসলামিক বিষয়ে আরো কতগুলো পোস্ট প্রকাশ করেছি। আপনারা যদি ইসলামী শরীয়তে বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে?

আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো পড়ুন। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকিকার বিষয়ে কতগুলো নিয়ম বর্ণনা করেছেন।

যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, সন্তান জন্মদানের সপ্তম দিনে আকিকা দিতে এবং সন্তানের সুন্দর নাম রাখতে। সেইসাথে চুল কেটে ওই চুলের ওজন পরিমাণ রুপা গরিবদের সদকা দিতে।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাও বলেছেন যে, কারো যদি পুত্র সন্তান হয় তাহলে সে আল্লাহর ওয়াস্তে দুটি ছাগল কোরবানি করবে এবং কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে একটি ছাগল কুরবানী করবে। তবে সেই ক্ষেত্রে ওই ছাগলের একটি নির্দিষ্ট বয়স পার হতে হবে।

আকিকার ক্ষেত্রে এক বছর এর বেশি বয়সের ছাগল জবাই করতে পারবে। ছাগলের বয়স যদি এক বছর এর চেয়ে কম হয় তাহলে আকিকার সুন্নত আদায় করা হবে না। আকিকার গোস্ত বন্টন নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার রয়েছে।

যার কারণে আমরা আমাদের এই পোস্টে আকিকার গোশত বন্টন করার সঠিক নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা আকিকার গোস্ত বন্টনের সঠিক নিয়ম জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অনেকেই বলে যে কেউ যদি তার সন্তানের আকিকার জন্য পশু জবাই করে তাহলে তারা নিজেরা ওই পশুর গোশত খেতে পারেনা। এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। ইসলামী শরীয়তে আকিকার গোশত বন্টনের নিয়ম হচ্ছে

যদি আপনারা আপনাদের সন্তানের আকিকা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা জবাইকৃত পশুর গোস্ত নিজেরা খেতে পারবেন এবং আত্মীয়-স্বজনদেরকে খাওয়াতে হবে। সেই সাথে গরিবদেরকে গোস্ত দিতে হবে।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।