এশার নামাজের সময় [ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, মিরপুর, রংপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া, ধানমন্ডি]
আল্লাহর নৈকট্য লাভের একমাত্র উপায় হল নামাজ আদায় করা। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা যায়, মনের সব কথা খুলে বলা যায়। নামাজ পড়লে মনে অন্য রকম শান্তি পাওয়া যায়।
নামাজ সম্পর্কে হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৩১)। ‘তোমরা লোকদের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে
এবং নামাজ আদায় করবে’ (সূরা বাকারা, আয়াত-৮৩)। আজকের পোষ্টে কয়েকটি নামাজের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
মুসলিমদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে রয়েছে ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা। এরমধ্যে এশার নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এটি হলো পঞ্চম নামাজ।
এশার নামাজ মোট 17 রাকাত। চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল, দুই রাকাত হালকি নফল এবং তিন রাকাত বিতর। সাধারণত মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে
এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।রাতের তিনের এক ভাগ সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এশার নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। সুবেহ সাদিকের আগ পর্যন্ত এশার নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
সুতরাং আমাদের উচিত যথাসময়ে এশার নামাজ আদায় করা। যথাসময়ে এশার নামাজ আদায় করলে অধিক সওয়াব লাভ করা যায়। আশাকরি আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা এশার নামাজের সময় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এগুলো হলো কালেম, নামাজ, রোজা,হজ্ব ও যাকাত। নামাজ হলো ইসলামের অন্যতম এক স্তম্ভ। কোন ব্যক্তি নামাজ ছাড়া তার দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা।
খাবার না খেলে যেমন মানুষের শরীর আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে যায়। তেমনি নামাজ ছাড়া একজন মানুষের অন্তর আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়। প্রত্যেক নামাজেরই ফজিলত রয়েছে। তবে যোহর নামাজের ফজিলত অন্যতম।
সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে তখন থেকেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। দুপুরের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। ছায়া আসলি বাদে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুন হওয়া পর্যন্ত এর সময় থাকে।
কোন বস্তুর দুপুরের সময় যে ছায়া থাকে তাকে আসলি ছায়া বলে। সুতরাং আপনাদের মধ্যে যারা যারা জোহরের নামাজের সময় সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে জানতে সক্ষম হয়েছেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মাগরিব নামাজ অন্যতম। মাগরিব নামাজ মোট 7 রাকাত। এর মধ্যে তিন রাকাত ফরজ, দু রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত নফল। সন্ধ্যায় সূর্য যখন পুরোপুরি ডুবে যায় তখন মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।
পশ্চিম আকাশে দিগন্ত নিলিমা শেষ হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে। অর্থাৎ মাগরিবের নামাজের সময় একটু কম থাকে। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত সময়মতো মাগরিবের নামায আদায় করে নেওয়া।
বিলম্ব না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নেওয়া মুস্তাহাব। মাগরিব নামাজ সম্পর্কে এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে,
যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮)। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে মাগরিবের নামাজ সময় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।