কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম [ক্লিক করে] দেখে নিন
কিসমিস আমরা কমবেশি সকলে খেয়ে থাকি। কিসমিসের স্বাদ সম্পর্কে সবাই অবগত হলেও কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে সকলের জানা নেই। এই পোস্টে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা, কিসমিস খাওয়ার নিয়ম,
কিসমিসের গুনাগুন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। খ্রিস্টপূর্ব 2000 সালে পারস্য ও মিশরে কিসমিস উত্থাপিত হয়। কিসমিস তৈরি করা হয় সূর্যের তাপে শুকিয়ে অথবা মাইক্রোওভেন ব্যবহার করে।
কিসমিস প্রাচীনকাল থেকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছ। প্রতি 100 গ্রাম কিসমিসে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ যেমন -শর্করা, চর্বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কিসমিস হার্টের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিসমিস রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে
যেমন – খারাপ কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড কমতে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, অ্যাসিডিটি থেকে পরিত্রান পেতে কিসমিস সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সীমিত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করে। সংক্রমণ এড়াতেও কিসমিসের উপকারিতা পাওয়া যায় এমন অনেক গুণ এতে পাওয়া যায় যা এন্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া মতো বিভিন্ন ধরনের
সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কিসমিসের নির্যাস মুখের ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেপটোকক্কাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরের উপকারিতার পাশাপাশি অধিক পরিমাণ এর কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে।
কিসমিস অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন – শরীরের ওজন বৃদ্ধি, এলার্জি, ডায়রিয়া এবং গ্যাস, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতে পারে অতিরিক্ত কিসমিস খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
রান্না করে: কিসমিস রান্না করেও খাওয়া যায়। বিভিন্ন মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার যেমন – পায়েশ, সেমাই, জর্দা ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কিংবা কোরমা তৈরিতে কিসমিস ব্যবহার করা হয়।
কাঁচা: বাজার থেকে কিসমিস কিনে, সরাসরি কিসমিস খাওয়া যাবেনা। কারণ এগুলোর সাথে নানা রকমের ধুলোবালি থাকতে পারে, তাই এগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
পরিমাণমতো কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া: কিসমিস খাওয়ার সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে রাতে কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে চুপ থাকা কিসমিস খাওয়া।
সারারাত ধরে কিসমিস ভেজানো পানি না ফেলে খেয়ে ফেলতে পারেন কিসমিস ভেজানো পানি নানা পুষ্টিগুণ বহন করে। যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া সবথেকে উত্তম।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তের লাল কণিকা পরিমাণ বাড়ায় কিশমিশ। এছাড়া কিশমিশ হৃদয় ভালো রাখে। কিশমিশের প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন,
পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। তাছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোন ক্ষতি করে না। বোরন নামক এক মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট ও কিসমিস থাকে যা সঠিকভাবে হাড় গঠনে সহায়তা করে
এবং ক্যালসিয়াম কে তাড়াতাড়ি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে। কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা শরীরের পরিপাক ক্রিয়ার দ্রুত সাহায্য করে, কিসমিস চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় কিসমিসের রয়েছে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন।