আধুনিক দলিল লেখার নিয়ম (দলিল লেখার বই pdf)

মানুষ বিভিন্ন কারণে তাদের জমি ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। জমি ক্রয় বিক্রয় করার জন্য দলিল অবশ্যই জরুরী। কারণ আপনি একটি জমির মালিক কিনা তা প্রমাণ করে একটি দলিল। বর্তমান সময়ে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই
বিভিন্ন প্রয়োজনে জমি ক্রয় করে থাকে। আর আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব দলিল কিভাবে লিখতে হয় এর নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যারা আধুনিক দলিল লেখার নিয়ম জানতে চান
অথবা বন্টন নামা দলিল লেখার নিয়ম জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আশা করি এই পোস্টটি পড়লে আপনারা দলিল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জমি ক্রয় করতে হলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবশ্যই জমির দলিল তৈরি করতে হয়। যার জন্য দলিল লেখা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জমির দলিল সুন্দরভাবে লিখতে পারেন না। যার জন্য অনেক সময় দলিল গ্রহনযোগ্য হয় না।
কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। সব কিছুই অনেক উন্নত হয়েছে। তেমনি আগে দলিল লেখা হতো হাতে। বর্তমানে অনেক জায়গাতে কম্পিউটারাইজ করে দলিল লেখা হয়ে থাকে।
আবার লেখার সঠিক কতগুলো নিয়ম রয়েছে। অনেকেই সেই নিয়ম জানেন না। তাই আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে জানাবো। আপনারা যদি আধুনিক দলিল লেখতে চান তাহলে প্রথমে আপনাদেরকে দলিল লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম দিতে হবে।
এরপর আপনারা যে জমি কিনবেন বা বিক্রি করবেন সেই জমির পরিমাণ লিখতে হবে। এরপর জমির মূল্য লিখতে হবে। জমির মূল্য লেখার পর আপনারা কি কারনে জমি বিক্রি করতে চাচ্ছেন তা লিখতে হবে।
এরপর বিক্রয়কৃত জমির মালিকের পরিচয় লিখতে হবে এবং ক্রয়কৃত মালিকের পরিচয় লিখতে হবে। এরপর আপনাদেরকে সত্যের বর্ণনা দিতে হবে এবং বিক্রয়ের বর্ণনা দিতে হবে। যেমন আপনারা কেন জমিটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন
সেই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনাদের তফসিল বর্ণনা করতে হবে। এরপর সম্পাদনা লিখেই আপনাদেরকে ইতি লিখতে হবে। তাহলে আপনার দলিলটি সুন্দর ভাবে এবং আধুনিক ভাবে লেখা হয়ে যাবে।
অনেকেই আছেন যারা দলিল কিভাবে লিখতে হয় এই বিষয়টি শিখতে চান। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কিভাবে এ বিষয়টি শিখতে পারবেন। দলিল লেখার নিয়ম এর কতগুলো বই রয়েছে।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দলিল লেখার বইয়ের পিডিএফ প্রকাশ করেছি। আপনারা যারা দলিল দেখতে চান বা দলিল লেখার নিয়ম শিখতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দলিল লেখার বইয়ের পিডিএফটি দেখতে পারবেন
এবং আপনারা চাইলে সেটি ডাউনলোড করে আপনাদের মোবাইলে রেখে দিতে পারবেন। আমাদের দেশে অধিকাংশ জায়গাতেই পিতা মাতা মারা যাওয়ার পর ছেলেমেয়েরা অনেক সময় মৌখিকভাবে তাদের সম্পত্তি ভাগাভাগি করে থাকে।
যার কারণে পরবর্তী প্রজন্মে এই সকল জমি নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই জমি মালিকানা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য বন্টননামা দলিল লিখতে হয়। আপনারা যদি বন্টননামা দলিল লিখতে চান
সে ক্ষেত্রে আপনাদের বন্টনামা দলিলে শিরোনাম দিতে হবে। এরপর আপনাদেরকে জমির পরিমাণ উল্লেখ করে কে কতটুকু অংশ পাবে সে অংশ লিখতে হবে। এরপর প্রত্যেক অংশীদারী ব্যক্তিকে দলিলে স্বাক্ষর দিতে হবে।
আর এভাবে বন্টনামা দলিল লেখা হয়ে থাকে। আপনারা যদি দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যসকল পোস্টগুলো দেখতে পারেন।