চাকরির পড়া মনে রাখার উপায় ও কিভাবে শুরু করব [ক্লিক করে দেখুন]
ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি যে অমুক আপু অথবা ভাইয়া যথেষ্ট মেধাবী। কখনো কি ভেবে দেখেছি একজন ভালো ছাত্র ছাত্রী আর অন্যদের মধ্যে পার্থক্য কি। কি সেই কারণ। সমান পরিমাণ জ্ঞান থাকার পরেও
আমাদের সাথে সেই মানুষগুলোর পার্থক্য করে দিচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র কৌশলের পার্থক্য রয়েছে। নাকি অন্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। একাডেমিক পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সবক্ষেত্রেই পড়া মনে রাখার বিকল্প নেই।
কিছু কার্যকরী এবং বিজ্ঞানসম্মত কৌশল কষ্টসাধ্য কাজ থেকে অনেক সহজ করে তুলেছে। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাব কিভাবে একটি পড়া কিভাবে সারা জীবন মনে রাখা যায়।
কিছু পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে আশা করি। আপনারা অনেকেই জানতে চান যে কিভাবে মস্তিষ্ক ভেতরে পড়াশোনাকে আরো ভালোভাবে গেঁথে রাখা যায়।
আমাদের মস্তিষ্ক অনেক স্মার্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে মস্তিষ্ক সকল তথ্য ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি হিসেবে গ্রহণ করে। এরপর যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে কিছু তথ্য দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়।
পড়া মনে রাখার ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক উপায়
বাকি মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করে। যা পরবর্তীতে আমরা খুব কম সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে ভুলে যায়। এ কারণে আমরা পড়েছি আগামীকাল তার প্রায় শতকরা 70 শতাংশ ভুলে যায়।
এখন মূল বিষয় হল মস্তিষ্ক কিভাবে বুঝতে পারে আমরা কোনটা চিরকাল মনে রাখার জন্য পড়ছি এবং কোনটি অল্প সময়ের জন্য পড়ছি। যে তথ্যগুলো আমরা জানার পরেও বারবার পরি।
পড়াশোনায় মন বসানোর ৫টি উপায়
সেগুলো মস্তিষ্ক প্রয়োজন হিসেবে বাছাই করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে স্মৃতিতে জমা রাখে। ফলে অনেক দিন পার হয়ে যাবার পরেও তথ্যগুলো আমাদের মনে থাকে। এভাবেই চাকরির পড়াশোনা মাথায় রাখা যেতে পারে।
পৃথিবীতে কোন কিছু কঠিন নয়। আমরা যদি কৌশল অবলম্বন করে পড়তে পারি। তাহলে কঠিন পড়া কেউ সহজভাবে আত্মস্থ করা যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
আর এই রক্ত চলাচল বৃদ্ধির ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই পড়াশোনা করতে বসার আগে কিছুটা ব্যায়াম করা উত্তম। আবার সেই ব্যায়াম এমনভাবে করা উচিত নয় যাতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়
অবশ্যই হালকাভাবে ব্যায়াম করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে বার বার পড়তে হবে সারসংক্ষেপ তৈরি করতে হবে এবং লেখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
তাহলে একটি পড়া অনেকদিন মনে থাকে। পড়াশোনা মনে রাখার বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাড়াও কিছু ইসলামিক উপায় রয়েছে। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সকল তথ্য জানাবো।
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে সকল তথ্য উপস্থাপন করছি। আপনি ফজরের নামাজের পরে পড়তে বসেন। অই সময় মস্তিষ্ক অনেক ঠান্ডা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ওই সময় পড়াশোনা করলে সেটা মেমোরিতে বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে। এছাড়া কোরআন শরীফ, নামাজ পড়লে মস্তিষ্কের এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। যার কারণে ওই সময়ের পর আমরা যদি কোন কিছু পড়ি,
সেটা দীর্ঘক্ষন আমাদের মস্তিষ্কে স্থায়ী থাকে। তাহলে বন্ধুরা, এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে সকল তথ্য জানিয়ে দিলাম। আশাকরি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে।