পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম (মানুষের, গর্ভাবস্থায়, বাচ্চাদের)

আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে পাতলা পায়খান হলে কি ট্যাবলেট খেতে হয় বা ট্যাবলেট এর নাম কি। এছাড়াও ঘনঘন পাতলা পায়খানা হলে কি করনীয় বা গর্ভাবস্থায় পাতলা পায়খানার
ট্যাবলেট এর নাম কি এই সকল বিষয় নিয়ে। আপনারা যদি এ সকল বিষয়ের বিস্তারিত জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন। পাতলা পায়খানা খুব বড় ধরনের কোন রোগ নয়। এটিকে ডায়রিয়া ও বলা হয়ে থাকে।
তবে এটি হলে মানুষ শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও এটি মানুষকে বেশ ভুগায়। পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে রোটা বা নোরা ভাইরাসের আক্রমণে। পাতলা পায়খানা হলে আমাদেরকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
তাহলে তা খুব দ্রুত সেরে যাবে বা ভালো হয়ে যাবে। পাতলা পায়খানা খুব বড় ধরনের কোন রোগ নয়। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। খাবার থেকেও এটি হয়ে থাকে। ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে বা বাষি,
পঁচা খাবার খাওয়ার কারণেও অনেক সময় পাতলা পায়খানা হয়। আর যাদের পাতলা পায়খানা হয় তারা অনেকেই জানতে চান যে পাতলা পায়খানা হলে কি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। তাই আমরা আপনাদেরকে এই বিষয়ে জানাবো।
পাতলা পায়খানা হলে আপনাদেরকে ফ্লাজিল বা মেট্রিল, এপ্রোসিন, নিটক্সিন ঔষধ গুলো বা ট্যাবলেটগুলো সেবন করতে হবে। এগুলো খেলে খুব তাড়াতাড়ি পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যায়।
তবে এগুলো শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেতে পারবে। যদি আপনাদের বাড়িতে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাতে হবে।
অন্যথায় তাদের আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ঔষধগুলো ছাড়াও পাতলা পায়খানা যদি বেশি পরিমাণে বা ঘন ঘন হতে থাকে তাহলে অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে তা ভালো করা হয়।
পাতলা পায়খানার কতগুলো এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি। পাতলা পায়খানা হওয়ার শুরুতেই আমাদের কোন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত নয়।
এর জন্য প্রথমে আমাদেরকে ডাবের পানি বা লেবু পানি খেতে হবে। সেইসাথে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এতে যদি পাতলা পায়খানা না কমে তাহলে ঔষধ সেবন করতে হবে। আমরা এই পোস্টের উপরের অংশে পাতলা পায়খানা কতগুলো ট্যাবলেট এর নাম বলেছি।
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
আপনারা এই ট্যাবলেটগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সেবন করতে পারবেন। এসব ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার পরও যদি আপনাদের পাতলা পায়খানা ভালো না হয় বা ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই
আপনাদের খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সে পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদেরকে ঔষধ সেবন করতে হবে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।
এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ সেবন করাও নিষিদ্ধ। কারণ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ সেবন করলে সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারী বা গর্ভাবস্থায় শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যদি কারো পাতলা পায়খানা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে তার অবশ্যই উচিত ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট সেবন করা।