বিয়ে করতে কত টাকা লাগে (কাজী অফিসে এবং পালিয়ে বিয়ে)
বিয়ে হচ্ছে সামাজিক বন্ধন। তাই তাই আপনারা অনেক সময় মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণ এবং কত টাকা প্রয়োজন হয়। তা জানতে ইন্টারনেট অনুসন্ধান করে থাকেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে বিয়ে করতে কত টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি এবং এর সঙ্গে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি বুঝতে পারবেন।
মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহর এর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণ এর উপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশ সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন ২০০৯ এপ্রিল ১০, ২০১১ তারিখে সংশোধন করেছে। বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৪ লাখ টাকা দেনমোহরের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হারে ফি আদায় করতে হবে।
তাহলে বন্ধুরা চলুন এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই। আশা করি আপনাদের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উত্তর জানিয়ে দিতে পারবো। বিয়ে করতে আনুষঙ্গিক খরচ সহ দেনমোহর কত টাকা দিতে হয়।
তা আজ জানবো। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিয়ের সময় কত টাকা কাজিকে দিতে হবে। এবং কত টাকা দেনমোহর এর বিপরীতে কত টাকা প্রদান করতে হয়। তা জানতে হবে।
পোস্টের মাধ্যমে বিয়ে করতে গেলে কাজী রেজিস্টার কে কত টাকা দিতে হবে। এ তথ্য জানার জন্য অনেকের আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আইনমন্ত্রী বলেন মুসলিম বিবাহ তালাক বিধিমালা ২০০৯
এর ২১ বিধি লেখা ও তালাক নিবন্ধন ফি বাবদ একজন নিকাহ রেজিস্টার ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেন মোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকায় ১২.৫০ পয়সা হারে নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন।
দেনমোহরের পরিমাণ 4 লক্ষাধিক হলে পরবর্তী এক লাখ টাকা দেনমোহরের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। তবে নিবে দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক না কেন। সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না।
আশা করি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। আরো যদি কোন তথ্য পেতে চান। জেনে নিতে পারেন। বিয়ে হচ্ছে সামাজিক বন্ধন। তাই অনেক সময় বিয়ে করতে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হয়।
তা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। বিয়ের বেলায় ১৮ এবং ছেলের বয়স ২১ বছর থাকতে হবে। আপনার বয়স যে আইনের নির্ধারিত বয়সের বেশিরভাগ সমান হয়েছে। তার কি প্রমাণ আছে?
হ্যাঁ প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন পত্র থাকতে হবে। অথবা এসএসসি পরীক্ষার পাশের সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। আশা করি এই উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো থাকলে আপনাকে বিয়ে করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা খরচ হয়। তা জানতে আপনারা যারা ইন্টারনেট অনুসন্ধান করছেন। আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিতে পারেন। আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
কোর্ট ম্যারেজ করতে এবং কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে কত টাকা প্রয়োজন হয়। তা জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে কোন আইনজীবীর কাছে। তিনি আপনার বর কনে ২০০ টাকার স্ট্যাম্প একটি হলফনামায় সই করবেন।
যাতে লেখা থাকবে আপনারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় বিয়ে করছেন। অতঃপর কাজের মাধ্যমে কাবিননামায় সই করে রেজিস্ট্রি করতে হবে। ব্যাস এভাবে আপনারা কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।